ভূমিকা
২০০০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর-পূর্ব লিটল ম্যাগাজিন পাঠ ও গবেষণা কেন্দ্রটি পথ চলা শুরু করেছিল অসমের গুয়াহাটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রাগজ্যোতিষ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড০ জ্যোতির্ময় সেনগুপ্ত। কলিকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাপক স্বর্গীয় সন্দীপ দত্ত এসেছিলেন এই কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন করতে। তখন আমাদের সংগ্রহে ছিল অসম ও ত্রিপুরার প্রায় সাড়ে ছ’শ বাংলা লিটল ম্যাগাজিন। আমাদের নিজস্ব সংগ্রহে সংযোজিত হয়েছিল তিন তরুণ তুর্কি অভিজিত, প্রসূন ও সৌমেনের পাঁচশোর কিছু বেশি অসমের বাংলা লিটল ম্যাগাজিন। এরপর বিগত কুড়ি বছর ধরে জ্যোতির্ময় সেনগুপ্তর প্রচেষ্টায় সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকেছে প্রায় তিন হাজারে। অসম তথা উত্তর-পূর্বের বাংলা, অসমিয়া এবং কয়েকটি হিন্দি লিটল ম্যাগাজিনের বেশ কিছু সংখ্যা সংগৃহীত হয়েছে উত্তর-পূর্ব লিটল ম্যাগাজিন পাঠ ও গবেষণা কেন্দ্রে। মূলত উত্তর-পূর্বের বাংলা লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গল্প, কবিতা ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা বা গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ লেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমের বেশ কয়েকজন গবেষক আমাদের এই সংগ্রহালয়ে এসেছেন। এঁদের মতো ভবিষ্যৎ পাঠক-গবেষকের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবার আমাদের সংগ্রহকে ওএব-দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী হয়েছি। সেজন্য আমাদের সংগ্রহে উপলব্ধ বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনের সংখ্যা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা nelittlemagazine নামাঙ্কিত ওএব-সাইটটিতে রাখা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য উত্তর-পূর্বের সাহিত্যকে বিশ্বের পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বাংলা ভাষায় রচিত উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন মৌলিক লেখার পাশাপাশি অনুবাদকর্মগুলোও এখানে থাকছে। উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত লেখাগুলোর পি.ডি.এফ কপি আমাদের nelittlemagazine নামাঙ্কিত ওএবসাইটে রাখার জন্য এই পত্রিকাগুলোর সম্পাদকেরা মৌখিক বা লিখিত সম্মতি জানিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হয়েছেন। ওএবসাইটটিতে স্থানপ্রাপ্ত বিভিন্ন ম্যাগাজিনের মলাট ও লেখার জন্য আমরা সমস্ত লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও লেখকদের কাছে ঋণ স্বীকার করছি।
